শনিবার , ১৫ এপ্রিল ২০২৩ | ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

যেভাবে উত্থান বাফুফে সেক্রেটারি আবু নাইম সোহাগের!

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
এপ্রিল ১৫, ২০২৩ ৭:০৩ পূর্বাহ্ণ

ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) নগর পরিকল্পনা বিভাগের ছাত্র। সেখান থেকে স্নাতন এবং স্নাতকোত্তর শেষ করে আসার পর আর আট-দশজনের মত তিনিও হতে পারতেন একজন নগর পরিকল্পনাবীদ। কিন্তু তা না করে, আবু নাইম সোহাগ যোগ দিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে কম্পিটিশন ম্যানেজার পদে, ২০০৬ সালে।

ফুটবলের সঙ্গে আবু নাইম সোহাগের যোগসূত্রটা এখান থেকে শুরু। যে সময়টায় তিনি বাফুফেতে যোগ দেন, তখন বাংলাদেশের ফুটবলের অবস্থা ছিল শোচনীয়। একের পর এক নানা সমস্যায় জর্জরিত বাফুফের ঘোর দুর্দিনেক বুয়েটের মত প্রতিষ্ঠান থেকে পাশ করে বের হয়ে আসার পর কেন তিনি এই মামুলি চাকরিতে যোগ দিলেন, তা ছিল তখন রহস্যঘেরা।

তবে, রহস্যের জট খুলতে বেশিদিন লাগেনি। কম্পিটিশন ম্যানেজার থেকে লিগ ম্যানেজার, এরপর একধাক্কায় হয়ে গেলেন বাফুফের সবচেয়ে পাওয়ারফুল প্রশাসনিক ব্যক্তিত্ব, জেনারেল সেক্রেটারি।

আবু নাইম সোহাগ কেন ২০০৬ সাল থেকে বাফুফেকে কামড়ে ধরে পড়েছিলেন, তার বিস্তারিত জানা গেলো বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন। দুর্নীতি করে গেলেও দেশের মাটিতে বহাল তবিয়তে থাকার পর ফিফার জালে ধরা পড়লেন। ফিফার দীর্ঘ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে, ভুয়া বিল-বাউচার দিয়ে কিভাবে তিনি সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। যে কারণে দুই বছরের জন্য ফুটবলীয় সকল কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ হয়েছেন তিনি। সঙ্গে জরিমানা করা হলো ১২ লাখ টাকা।

২০১১ সালে হঠাৎ করেই বাফুফের নির্বাহী ক্ষমতা চলে আসে আবু নাইম সোহাগের হাতে। ফিফার নির্দেশনা মেনে বাফুফে প্রথম বেতনভুক্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলো, তখনকার প্রতিভাবান সাংবাদিক আল মুসাব্বির সাদীকে। কিন্তু তার অকাল মৃত্যুর পর সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন যোগ্য কাউকে নিয়োগ না দিয়ে, আবু নাইম সোহাগকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিয়োগ দেন। এর পরের বছর থেকে তিনি হয়ে যান পুরোদস্তুর সাধারণ সম্পাদক।

ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হওয়ার আগে দু’বার ফিফার এডমিনিস্ট্রেশন এন্ড ম্যানেজমেন্ট ইন্সট্রাকটর কোর্সে পরীক্ষা দিয়েও উত্তীর্ণ হতে পারেননি আবু নাইম সোহাগ। অথচ তার সঙ্গেই বাফুফেতে মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন ম্যানেজার হিসেবে যোগ দেয়া প্রয়াত আহমেদ সাঈদ আল ফাত্তাহ প্রথম প্রচেষ্টায় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে রিজিওনাল ইন্সট্রাকটর হন।

সোহাগের চেয়েও চৌকষ এবং যোগ্যতাসম্পন্ন হয়েও ফাত্তাহ কেন বাফুফের এতবড় দায়িত্বে যেতে পারেননি, তা ছিল বিস্ময়। পরে অবশ্য জানা গেছে, সোহাগের পেছনে খুঁটির জোর ছিল ভিন্ন। যে কারণে, ফাত্তাহ ধোপে টেকেননি। সোহাগ হয়ে পড়েন বাফুফের সব নির্বাহী ক্ষমতার মালিক। সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর অবশ্য সোহাগ সবার আগেই নিজের পথের কাঁটা, ফাত্তাহকে সরিয়ে দেন বাফুফে থেকে।

চলতি মেয়াদের আগের মেয়াদে সোহাগ বাফুফের প্রয়াত সহ-সভাপতি বাদল রায়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে ব্যপক সমালোচিত হন। অসুস্থ বাদল রায়ের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তিনি তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করতে শুরু করেন। এ নিয়ে ফুটবলাঙ্গন উত্তাল হয়ে উঠলেও সোহাগকে শাস্তি না দিয়ে উল্টো চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে দেন সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। একই সঙ্গে বেতনসহ নানা সুযোগ সুবিধাও বাড়ানো হয় তার।

সর্বশেষ - সারাদেশ