কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে রোববার (৭ মে) উদযাপন করা হলো রবীন্দ্র-নজরুল জন্মজয়ন্তী ও বাংলা নববর্ষ।
বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষার্থী-ছোট শিশুদের বিভিন্ন আবৃতি, গান ও নিত্যের মাধ্যমে এদিন এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় সেখানে।
রবীন্দ্র-নজরুল জন্মজয়ন্তীও বাংলা নববর্ষ ২০৩০ উপলক্ষে উপ- হাইকমিশনের প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন পশ্চিমবঙ্গে অবস্থানরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা।
কলকাতায় নিয়োজিত উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস বলেন, ১৪ এপ্রিল নববর্ষ চলাকালীন রমজান মাস চলছিল। সাধারণত রমজান মাসে আমরা কোনো অনুষ্ঠান করি না। সেই কারণেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ঈদের পর অনুষ্ঠানটি করবো। পাশাপাশি রবীন্দ্র-নজরুল জন্মজয়ন্তীও উদযাপন করা হবে। সেটা মাথায় রেখেই আজকের অনুষ্ঠানটিকে সাজিয়েছি।
তিনি বলেন, আজকের দিনে আমাদের বড় প্রাপ্তি বাংলাদেশের সবচেয়ে নাম করা লালন গীতি শিল্পী ফরিদা পারভীন আমাদের গান শোনাবেন।
এরপর তিনি রবীন্দ্র-নজরুল জন্মজয়ন্তী উদযাপন নিয়ে বলেন, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, লালন সবার মধ্যে একটা বিষয় কমন সেটা হচ্ছে মনুষ্যত্ব ও অসাম্প্রদায়িক চিন্তা। সবার উপরে মানুষ সত্য। সব সময় আমরা চেষ্টা করি দুই বাংলাকে মিশিয়ে এক করে অনুষ্ঠান করতে। দুই বাংলা যদি না মেশে তাহলে কিছু করা যাবে না।
দুই বাংলার শিক্ষার্থীদের অনুষ্ঠানের পরে লালন গীতিতে মুগ্ধ করেন লালনকন্যা নামে খ্যাত ফরিদা পারভিন। তাকে সঙ্গ দেন একুশে পদক প্রাপ্ত বাঁশুরিয়া গাজী আব্দুল হাকিম।
মনোমুগ্ধকর পরিবেশ রবীন্দ্র-নজরুল জন্মজয়ন্তী ও বাংলা নববর্ষ ২০৩০ উদযাপন অনুষ্ঠানে মুগ্ধ করে তোলে বসে থাকা দর্শকদের। একই সঙ্গে আয়োজন করা হয়েছিল নববর্ষের বাঙালির চিরাচরিত ঐতিহ্যবাহী নানান খাবার।