৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা চলছে। শুক্রবার (১৯ মে) সকাল ১০টা থেকে এ পরীক্ষা শুরু হয়। চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। এসময়ে রাজধানীর বিভিন্ন কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা। সেসব কেন্দ্রের বাইরে অভিভাবকদের মধ্যে দেখা গেছে দুশ্চিন্তার ছাপ। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনেক পরীক্ষার্থী লম্বা সময় ধরে প্রস্তুতি নিয়েছেন। এখন পরীক্ষা কেমন হচ্ছে, তা নিয়েই অভিভাবকরা ভাবছেন। পরীক্ষা যেন ভালো হয়, সব অভিভাবকেরই তেমনই চাওয়া।
শুক্রবার (১৯ মে) সকালে রাজধানীর বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজে গিয়ে এমনটাই দেখা যায়।
দেশের আট বিভাগ ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ৪৫তম বিসিএসের মাধ্যমে মোট দুই হাজার ৩০৯ জন ক্যাডার নেওয়া হবে। নন-ক্যাডারে নেওয়া হবে এক হাজার ২২ জনকে। সবচেয়ে বেশি নিয়োগ হবে চিকিৎসায়। সহকারী ও ডেন্টাল সার্জন মিলিয়ে ৫৩৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। চিকিৎসার পর সবচেয়ে বেশি নিয়োগ পাবেন শিক্ষা ক্যাডারে, ৪৩৭ জন। এছাড়া পুলিশে ৮০, কাস্টমসে ৫৪ ও প্রশাসনে ২৭৪ জনকে নিয়োগ দেবে সরকার।
সরকারি চাকরির সবচেয়ে বড় এই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবকরাও থাকেন নানা দুশ্চিন্তায়। রাজধানীর শনিরআখড়া থেকে মেয়েকে নিয়ে কেন্দ্রে আসা আব্দুস সাত্তার জাগো নিউজকে বলেন, মেয়ের প্রস্তুতি ভালো। এখন পরীক্ষার হলে পরীক্ষা কেমন হয় সেটাই দেখার বিষয়। ভালো যেন হয় সে দোয়াই করি।
গাজীপুর থেকে ছেলেকে নিয়ে আসা মো. মোতালেব জাগো নিউজকে বলেন, ছেলেকে নিয়ে এলাম। পরীক্ষা দিচ্ছে। বিসিএস তো অনেক প্রতিযোগিতার পরীক্ষা, তাই এখানে টেকা কঠিন। ভাগ্য যেন তার সহায় হয়।
মিরপুর থেকে মেয়েকে নিয়ে আসা ফাতেমা আক্তার জাগো নিউজকে বলেন, মেয়েটা অনেকদিন ধরে প্রস্তুতি নিয়েছে। এখন পরীক্ষা ভালো হলেই আমরা খুশি।
এবারও পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নানা প্রস্তুতি নিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এরমধ্যে চাকরিপ্রার্থীদের জন্য রয়েছে কঠোর নির্দেশনা। যদি কোনো চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষার সময় পাশের কারও উত্তরপত্র দেখার চেষ্টা করেন, তাহলে তার পরীক্ষা বাতিল হবে। এমনকি ঘাড় ঘোরালেই কেড়ে নেওয়া হবে খাতা।