অবশেষে দীর্ঘ ২৩ বছর পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি পেলো আওয়ামী যুবলীগ সিলেট জেলা ও মহানগর শাখা। এই দীর্ঘ সময় ধরে কখনো আহ্বায়ক কমিটি আবার কখনো সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দিয়েই চলেছে। এ নিয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা বিরাজ করছিল।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এই দুই শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
জেলা যুবলীগের কমিটিতে শামীম আহমদকে (ভিপি) সভাপতি ও মোহাম্মদ শামীম আহমদকে সাধারণ সম্পাদক করে ১০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি এবং মহানগর যুবলীগে আলম খান মুক্তিকে সভাপতি ও মুশফিক জায়গীরকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৩১ সদস্যের কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে জেলা কমিটির চারটি সদস্য পদ খালি রাখা হয়েছে। এছাড়া মহানগর যুবলীগের ১৩১ সদস্যের কমিটির মধ্যে সহ-সভাপতি, সম্পাদকীয় ও সদস্যসহ ৩০টি পদ খালি রয়েছে।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম আহমদ (ভিপি)। তিনি বলেন, খালি পদগুলো খুব শিগগির পূরণ করা হবে।
২০১৯ সালের জুলাইয়ের শেষদিকে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে সিলেট জেলা ও মহানগর যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছিলেন। এসময় কেন্দ্রীয় নেতারা ঘোষণা দিয়েছিলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে। কিন্তু এরপর পেরিয়ে গেছে চার বছর।
এতদিন সিলেট জেলা ও মহানগর যুবলীগের রাজনীতি ছিলে চার নেতানির্ভর। কাউন্সিলের মাধ্যমে চার বছর আগে জেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম আহমদ ভিপি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন শামীম আহমদ। আর নগর যুবলীগের সভাপতি হন আলম খান মুক্তি এবং মুশফিক জায়গীরদার পান সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব। পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় এতদিন তৃণমূলে ক্ষোভের সঙ্গে সাংগঠনিক কার্যক্রমে দেখা দেয় স্থবিরতা। অবশ্য দীর্ঘ ২৩ বছর ধরেই সিলেটে ক্ষমতাসীন সংগঠন দুটির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ছিল না।
যুবলীগের নেতাকর্মীরা জানান, ২০১৪ সালের জুলাইয়ে আলম খান মুক্তিকে আহ্বায়ক করে সিলেট মহানগর যুবলীগের ৬১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির মেয়াদ ছিল তিন মাস। তবে সেই কমিটি প্রায় ছয় বছর দায়িত্ব পালন করে। এরপর সম্মেলনের মাধ্যমে আংশিক কমিটি গঠন করা হয়েছিল।
একইভাবে সিলেট জেলা যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়েছিল ২০০৩ সালে। ২০১৯ সালের জুলাই পর্যন্ত কার্যক্রম চালায় যুবলীগের সেই কমিটি।
এর আগে ২০১৯ সালে ২৭ জুলাই মহানগর ও ২৯ জুলাই জেলা যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। যুবলীগের তৎকালীন চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর উপস্থিতিতে এই সম্মেলনে জেলা যুবলীগের কাউন্সিলরদের ভোটে শামীম আহমদ (ভিপি) সভাপতি ও মোহাম্মদ শামীম আহমদ সাধারণ সম্পাদক, মহানগর যুবলীগের আলম খান মুক্তি সভাপতি ও মুশফিক জায়গীরদার সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন।