বৃহস্পতিবার , ২ নভেম্বর ২০২৩ | ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

মৃত্যুর দেড় বছর পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
নভেম্বর ২, ২০২৩ ৪:৫৮ অপরাহ্ণ

আদালতের নির্দেশে দাফনের দেড় বছর পর গাজীপুরের শ্রীপুরের কাওরাইদ গ্রামে কবর থেকে এক যুবলীগকর্মীর মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। স্বজনদের অভিযোগ, ওই যুবলীগকর্মীর হাত-পা কেটে চলন্ত ট্রেনের নিচে ফেলে তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। ১৫ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর ওই যুবলীগকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর আগে হত্যাচেষ্টাকারীদের নাম বলে গেছেন ওই যুবলীগকর্মী।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে শ্রীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল মামুনের উপস্থিতিতে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের কাওরাইদ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে যুবলীগকর্মীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরে শহিদ তাজ উদ্দিন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহত যুবলীগকর্মী মো. তোফাজ্জল হোসেন (৩০) উপজেলার কাওরাইদ গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে। তিনি কাওরাইদ ইউনিয়নের যুবলীগের সদস্য ছিলেন।

অভিযুক্তরা হলেন—মো. রাকিব মিয়া (৩২), মো. মোকলেছ মিয়া (৩০), মো. হারুন (৩০), দেলোয়ার (৪০), মো. রুবেল (২৮), রাসেল (২৫) ও কামরুল আহসান গোলাম (৫০)।

নিহতের বড়ভাই মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ২০২২ সালের ৮ জুন রাত সাড়ে ৮টার দিকে মামলার প্রধান আসামি রাকিব আমার ভাই তোফাজ্জল হোসেনকে মুঠোফোনে ডেকে নেয়। এরপর রাত পৌনে ১টার দিকে আমার ভাইয়ের সঙ্গে সর্বশেষ কথা হয় তার স্ত্রী রিতা আক্তারের। এ সময় সে বাসায় আসতে দেরি হবে বলে ফোন কেটে দেয়। এর পর সে বাসায় আসেনি।
গত ২০২২ সালের ৯ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দেলোয়ার মানুষকে ডেকে বলে, তোফাজ্জল রেললাইনের নিচে কাটা পড়ে মারা গেছে। এরপর তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শ্রীপুর পরে ময়মনসিংহ ও ঢাকার হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি। চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ২২ জুন তার মৃত্যু হয়।

তিনি আরও বলেন, ভাই মারা যাওয়ার আগে সে বলে যায় যে, আমি রেললাইনে কাটা পড়ে আহত হইনি। আমাকে ফোনে ডেকে নিয়ে ডান হাত কেটে বিচ্ছিন্ন করে ওরা। পরে পাশবিক নির্যাতন করে গুরুতর আহত করে আমাকে রেললাইনের ওপর ফেলে যায়। সর্বশেষ আমি বুকে ঠেলে রেললাইনের ওপর থেকে সরে আসি। ওরা রেললাইনের ওপর ফেলে আমাকে মারতে চেয়েছিল। বেঁচে থাকলে আমার বিষয়টি আমি দেখব। যাদের নাম বলে গেলাম, ওরাই ধারালো দা দিয়ে আমার ডান হাত বিচ্ছিন্ন করেছে। অভিযুক্ত দেলোয়ারের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ আছে। এর আগের শুক্রবারে অভিযুক্ত দেলোয়ারের সঙ্গে আমার ভাইয়ের ঝগড়া হয়। ওই দিনই আমার ভাইকে সে হত্যার হুমকি দেয়।

নিহতের স্ত্রী রিতা আক্তার জানান, রাত পৌনে ১টার দিকে আমি আমার স্বামী তোফাজ্জলকে ফোন করি। সে আমাকে বলে, বাসায় আসবো, তবে দেরি হবে। এ সময় আমি জানতে চাই, কে আছে তোমার সঙ্গে। তখন সে জানায়, রাকিব আর মোকলেছ তার সঙ্গে আছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) গাজীপুরের পরিদর্শক (তদন্ত) রাফিকুল ইসলাম জামান বলেন, গত ৩০ এপ্রিল ২০২২ সালে নিহতের বড় ভাই মোফাজ্জল হোসেন বাদী হয়ে গাজীপুর আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর বিজ্ঞ আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্তের অংশ হিসেবে আদালতের নির্দেশনায় দাফনের প্রায় দেড় বছর পর মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।

শ্রীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল মামুন বলেন, আদালতের নির্দেশনায় মরদেহ দাফনের প্রায় দেড় বছর পর কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও স্থানীয় ইউপি সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

 

সর্বশেষ - সারাদেশ