বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের ৫২তম শাহাদত বার্ষিকী আজ। বিজয়ের মাত্র ৬ দিন আগে ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর খুলনার রূপসায় শহীদ হন এ বীর যোদ্ধা।
এ উপলক্ষে রোববার (১০ ডিসেম্বর) তার গ্রামের বাড়িতে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মো. রুহুল আমিন স্মৃতি জাদুঘর এবং উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
১৯৩৪ সালে সোনাইমুড়ী উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের বাগপাঁচড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন রুহুল আমিন। শিক্ষা জীবন শুরু করেন বাগপাঁচড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তারপর ভর্তি হন আমিশাপাড়া কৃষক উচ্চ বিদ্যালয়ে। ১৯৫১ সালে নৌ-বাহিনীতে নায়েক হিসেবে চাকরি জীবন শুরু করেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযদ্ধে অংশ নেন। মুক্তিযুদ্ধে ২নং সেক্টরে যুদ্ধরত রুহুল আমিন ছিলেন নৌ-বাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ‘পলাশ’ এর প্রধান ইঞ্জিনরুম আর্টিফিসার।
১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর অধিনায়কের নির্দেশ অমান্য করে বাংলাদেশের যুদ্ধজাহাজ পলাশকে রক্ষা করতে গিয়ে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর নিক্ষিপ্ত গোলায় তিনি শহীদ হন। মুক্তিযুদ্ধে বীরোচিত ভূমিকা ও মহান আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবে ভূষিত করা হয়।
বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের দুই ছেলে ও তিন মেয়ে রয়েছে। বড় ছেলে বাহার ২৫ বছর আগে মারা যান। তার পরিবারের লোকজন সিলেটে বসবাস করছেন। ছোট ছেলে শওকত আলী (৫৭) ও তিন মেয়ে নূরজাহান বেগম (৬৬), রিজিয়া বেগম (৬০), ফাতেমা বেগম (৫৮)। এর মধ্যে তিন মেয়ে সবাই স্বামী-সন্তান নিয়ে চট্টগ্রামে সরকারের বরাদ্ধ দেওয়া বাড়িতে বসবাস করছেন।