নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ভারতের হাই-কমিশনারের কাছে আমরা ভিসা সরলীকরণের বিষয়ে একটা প্রস্তাব রেখেছি। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উষ্ণতা আরও বাড়বে, যদি আমরা অন অ্যারাইভাল ভিসাটা পেয়ে যাই। সে ক্ষেত্রে কিছু ক্রাইটেরিয়া থাকতে পারে।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুই বাংলার বিশিষ্টজনদের নিয়ে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সংঘের আয়োজনে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও বাঙালির আত্মত্যাগ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। কলকাতার ঐতিহাসিক বেঙ্গল ক্লাবে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
বক্তব্যে নৌ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা এখন নৌপথে যাতায়ত করছি। ঢাকা থেকে কলকাতা পর্যন্ত নৌ পথে প্রতিদিনই যাত্রী আসা-যাওয়া করছে। ৩ মার্চ কলকাতা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে একটি জাহাজ যাবে। যত দিন যাচ্ছে, ততই এই নৌপথে যাতায়াত জনপ্রিয় হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের কোনো নাগরিক অসুস্থ হলে ভারতে আসার সময় ভিসা জটিলতা দেখা দেয়। কিছু ক্রাইটেরিয়া করে দিয়ে যদি আমরা এই ভিসা সরলীকরণ করতে পারি, তাহলে সবাই উপকৃত হবে।
‘বাংলাদেশ অথবা ভারতের ভিসা প্রত্যেক দিনই ইসু করা হচ্ছে। কিন্তু মাঝখানে অনেকটা সময় লেগে যাচ্ছে। এই বিষয়ে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ নিচ্ছে। তবে এখন ভারতের চিকিৎসা ভিসা এক সপ্তাহের মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। আবার দেখা যাচ্ছে বিশেষ কারণেও সঙ্গে সঙ্গে ভিসা দিয়ে দিচ্ছে ভারত।’
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের ভুমিকা নিয়ে ভূয়সী প্রশংসা করে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী। বলেন, ভারতকে কখনোই আক্রমণাত্মক শক্তি হিসেবে দেখেনি বিশ্ব। ভারত সবসময় শান্তির পক্ষে কথা বলেছে। জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের সূচনা হয়েছে ভারত থেকে।
‘শান্তি ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে ভারত যেভাবে কাজ করছে আর আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার সেভাবে কাজ করছে, আমরাও সেভাবে এগিয়ে যাচ্ছি। শেখ হাসিনা মানবতার পক্ষে কাজ করছেন, শান্তির পক্ষে কাজ করছেন।’
তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে বলতে গিয়ে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এটা দীর্ঘ দিনের চলমান বিষয়। কুশিয়ারের পানি আমাদের সেটেলমেন্ট হয়ে গেছে। পানির প্রয়োজন এখানে (ভারত) যেমন আছে, সেরকম বাংলাদেশরও প্রয়োজন রয়েছে। সব বিষয়ে আলোচনা চলছে, আলোচনা বন্ধ নাই। সমস্যা তখনই হবে, যখন আলোচনা বন্ধ হয়ে যাবে। এখনো আলোচনা চলছে আমাদের।
এদিনের অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস, শিশির বাজোরিয়া। অনুষ্ঠানের সমাপনী পর্বে সঙ্গীত পরিবেশন করেন খ্যাতনামা লালনগীতি শিল্পি ফরিদা পারভিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা বংশী বাদক শিল্পী গাজী আব্দুল হাকিম।