মঙ্গলবার , ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ | ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

দুরবস্থায় পড়ি নাই: প্রধানমন্ত্রী

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
ডিসেম্বর ১৩, ২০২২ ৩:১৭ অপরাহ্ণ

শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লিখিত রূপকল্প-২০২১ অনুযায়ী বাংলাদেশকে একটি ডিজিটাল ও উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তর করতে সক্ষম হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘জাতি যখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন করেছে, তখন বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করা আমাদের জন্য একটি বড় অর্জন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁরা এখন রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ এবং ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’কে একটি ‘স্মার্ট বাংলাদেশে’ রূপান্তর করতে প্রস্তুত। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দয়া করে কেউ যাচাই না করে গুজবে কান দেবেন না বা বিভ্রান্ত হবেন না।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনা–পরবর্তী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং একে কেন্দ্র করে নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষাপটে যুক্তরাজ্য নিজেদের অর্থনৈতিক মন্দার দেশ ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু আমরা এখনো সেই দুরবস্থায় পড়ি নাই। অন্তত আমি এটুকু আপনাদের বলতে পারি। আমাদের সেই প্রচেষ্টা আছে।’

তিনি এ প্রসঙ্গে যার যতটুকু জায়গা আছে, তাতে কিছু না কিছু উৎপাদন করার জন্য তাঁর আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন, যাতে নিজেদের খাবারটা আমরা নিজেরা উৎপাদন করতে পারি, কারও কাছে হাত পেতে চলতে না হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন প্রযুক্তির আবির্ভাবের সঙ্গে সঙ্গে অপরাধের ধরন পরিবর্তিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রথাগত ও অপ্রথাগত হুমকি মোকাবিলার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ‘ট্র্যাডিশনাল সিকিউরিটি থ্রেট’–এর পাশাপাশি ‘নন–ট্র্যাডিশনাল সিকিউরিটি থ্রেট’ প্রতিহত করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘এখন নিরাপত্তার বিষয়টি অনেক বদলে গেছে। ডিজিটাল ডিভাইস যেমন আমাদের অনেক সুযোগ করে দিয়েছে, তেমনি সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ কিংবা অপরাধের ধারাটাও পাল্টে গেছে।’

প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ৪০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যঘাটতি থাকা অবস্থায় ’৯৬ সালে দেশের শাসনভার গ্রহণ করে দেশে প্রথমবারের মতো শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরকালে ২৬ লাখ মেট্রিক টন উদ্বৃত্ত রেখে গিয়েছিলেন। তিনি দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট থেকে বাড়িয়ে ৪ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট করা এবং পরবর্তী সময়ে বিএনপি সরকারের সময়ে তা আবার ৩ হাজার ২০০ মেগাওয়াটে নামিয়ে ফেলাসহ বর্তমানে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা ২৫ হাজার মেগাওয়াট এবং সাক্ষরতার হার, গড় আয়ু বৃদ্ধি প্রভৃতি সাফল্যের বিবরণ তুলে করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করে। সে সময় আর্থসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি সামরিক বাহিনীর আধুনিকায়নে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী গ্র্যাজুয়েশনপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে মাতৃভূমির ওপর সম্পূর্ণ নিবেদিতপ্রাণ হয়ে যাঁর যাঁর ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি আশা করি, সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজ তার শিক্ষা-প্রশিক্ষণের উচ্চমানের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবে। এ প্রতিষ্ঠানের গ্র্যাজুয়েটরা তাঁদের অর্জিত জ্ঞান, ইচ্ছাশক্তি ও অঙ্গীকার সামনে রেখে দেশকে গৌরবময় অবস্থানের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

সর্বশেষ - সারাদেশ