সাহানারার পরিবার ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই এলাকার কালপট্টি পাড়ার বাঁশের ঝাড় পেরিয়ে সরু গলি দিয়ে কৃষকেরা মাঠে যাতায়াত করেন। আজ সকাল সাড়ে সাতটায় সাহানারার ছোট ছেলে সজিব হোসেন (১৯) ওই পথ দিয়ে কৃষিখেতে যাওয়ার পথে মায়ের লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজনকে খবর দেন। পরে সজিব বিষয়টি সদর থানা–পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে আটটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে।
সজিব বলেন, ‘আমার মা একা সংসার চালান। খুব কষ্ট করে মা আমাদের বড় করেছেন। আমরা গরিব মানুষ। এলাকায় কারও সঙ্গে কোনো বিরোধ ছিল না। তারপরও কেন আমার মায়ের লাশ মাটিতে পড়ে আছে?’
সাহানার খাতুনের বড় ভাইয়ের মেয়ে রশিদা খাতুন বলেন, ‘আমার ফুফু খুব সংগ্রাম করে দুই ছেলেকে বড় করেছেন। শুধু তাঁদের জীবন গুছিয়ে আসছিল। এর মধ্যে সবকিছু শেষ হয়ে গেল।’
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়েছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করে বলা যাবে।